নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিশাল ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ৮ থেকে ১০ টার মধ্যে ঘুমানো শরীরের সার্বিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এখানে বিষয়গুলো আরও বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:
-
ভালো ঘুমের উপকারিতা:
পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের ক্লান্তি দূর করে, মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখে এবং উত্পাদনশীলতা বাড়ায়। এটি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। -
হরমোন নিয়ন্ত্রণ:
রাতের ভালো ঘুম কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কর্টিসল কম থাকলে আমরা মানসিকভাবে প্রশান্ত অনুভব করি এবং দেহের সার্বিক কার্যক্ষমতা বাড়ে। -
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে:
পর্যাপ্ত ঘুম শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদন বাড়ায়, যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি সংক্রমণ এবং অন্যান্য রোগ থেকে দ্রুত সেরে উঠতে ভূমিকা রাখে। -
ক্ষুধা ও ওজন নিয়ন্ত্রণ:
ঘুমের ঘাটতি আমাদের ক্ষুধা হরমোন ঘেরলিন এবং লেপটিনের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। তাড়াতাড়ি ঘুমানো শরীরের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখে। -
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি:
ঘুমের অভাবে অনেক সময় উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা এবং বিষণ্নতা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
উপসংহার:
তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তোলা আমাদের সুস্থ, সতেজ ও কর্মক্ষম জীবন নিশ্চিত করতে অপরিহার্য। সার্কাডিয়ান ছন্দ অনুযায়ী কাজ করে শরীর ও মনের কার্যক্ষমতা বাড়ানো যায়। তাই সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
code - 22
